আমাদের ক্লাবের মূল লক্ষ্য হল সমাজের উন্নয়ন এবং মানবতার সেবা করা। আমরা বিশ্বাস করি যে একটি উন্নত সমাজ গঠনের জন্য আমাদের সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে।
ক্লাবের সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ
পৃথিবীর যে কোন উন্নয়নশীল দেশের সংঙ্গে সমানে
সমান তাল মিলিয়ে চলার যে উপায় তাইতো সংগঠন।
বর্তমানে আমাদের সমাজ ও রাষ্টীয় জীবনে মূল্যবোধের
অবক্ষয়ের যে ধ্বংস লীলা চলছে তার হাত থেকে সমাজ,
জাতি ও রাষ্টকে রক্ষার জন্য সমাজ জীবনে ধর্মীয় ভাব
প্রবনতার প্রতিফলন ঘটানো একান্ত আবশ্যক। ঐক্য ও
আর্দশের মাধ্যমে যুব সমাজকে এক ব্যাপক বৈজ্ঞানিক
প্রযুক্তির অনুশীলনের অঙ্গীকার সামনে রেখে আমরা
“Ruby Club” টি প্রতিষ্ঠা করেছি। জনসেবা ও মানবিক
মূল্যবোধ ও বিভিন্ন জনহিতকর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন
করা এই সংগঠনের মূখ্য ভূমিকা।
ভূমিকাঃ
“Ruby Club” দেশের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক মানের সেবা
সংস্থা। যার শিকড় দেশের প্রায় সকল প্রান্তে বিস্তৃত।
সাফল্যকে ব্যক্তিস্বার্থের মধ্যে ধরে না রেখে একে দেশ ও
সমাজের উন্নয়নে ছড়িয়ে দেওয়ার ভূমিকায় “Ruby Club”।
“Ruby Club” একটি সহায়ক এবং বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ
সরবরাহ করে, যেখানে সদস্যরা প্রকাশ্য বক্তৃতা এবং
নেতৃত্বের প্রাথমিক দক্ষতাগুলি শিখতে এবং অনুশীলন
করতে পারেন। সেখানে আপনি কেবলমাত্র একটি অভ্যর্থনা
-মূলক বাতাবরণই পাবেন যা অনুশীলনগুলিকে উত্সাহ দেয়,
তবে আপনি এমন একটি সম্প্রদায়েরও অংশ হবেন যা
আপনাকে আপনার প্রকল্প, অভিজ্ঞতাগুলি ভাগাভাগি করতে
এবং যেভাবে আপনি উন্নতি করতে পারেন সে সম্পর্কে
মূল্যবান প্রতিক্রিয়া সরবরাহ করবে। আপনি এমন একজন
পরামর্শদাতাকেও পেতে পারেন যিনি মৌলিক পথের প্রথম
প্রকল্পগুলির অগ্রগতিতে আপনাকে গাইড করবেন।
“Ruby Club” কোনো "বিশেষজ্ঞ" বা "শিক্ষক" নেই (এবং
ক্লাবের সভাগুলি - সাধারণভাবে - কোনো "সেমিনার" বা
"কর্মশালা" নয়) - এখানে প্রত্যেকে তাদের নিজস্ব শেখার
পদ্ধতির জন্য রয়েছেন, শেখার এবং উন্নতি করার জন্য
প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু আছে, প্রত্যেকেই আপনার
সহকর্মী এবং সমকক্ষ।
এখানে “Ruby Club” কে একটি "স্যান্ডবক্স" হিসাবে দেখতে
পারেন, যেখানে আপনি নিজের উদ্বেগ, মঞ্চ আতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ
করা শিখতে পারেন বা আপনার লাজুকতা কাটিয়ে উঠতে
পারেন।
“Ruby Club” আইনগতভাবে স্বতন্ত্র সংস্থা তবে অনুমোদিত।
সেই হিসাবে, “Ruby Club” সারা দেশব্যাপী সমস্ত সদস্যদের
এক অভিন্ন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে এবং পুরো
সংস্থাটির সুবিধার্থে, “Ruby Club” এ নিজেদের সংঘবদ্ধ করার,
সৃজনশীল হওয়ার এবং নতুনত্ব আনার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা এবং
স্বশাসন প্রদানের মাধ্যমে, আমরা ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা
করি।
প্রতিষ্ঠানের নাম : “Ruby Club” ।
প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা :
প্রতিষ্ঠানের কার্য্য এলাকা : সমগ্র বাংলাদেশ।
“Ruby Club” নামক সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী ও অরাজনৈতিক সংগঠনের
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসেবে নিম্নোক্ত কার্যক্রমসমূহ বর্ণিত হলঃ
লক্ষ্যঃ
ক) সামাজিক কার্যক্রমঃ-
১,শিক্ষাকল্যাণঃ- মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা কার্যক্রম
উৎসাহিত করতে বৃত্তি প্রদান, শিক্ষা উপকরন প্রদান
ইত্যাদি ব্যবস্থা গ্রহন করা। এলাকার গরীব, অসহায় মেধাবী
ছাত্র-ছাত্রীদের পড়া লেখা চালিয়ে যেতে সহায়তা বা উদ্ভুদ্ব
করা। দরিদ্র মেধাবী/অশিক্ষিত ছেলে/মেয়েদের প্রাথমিক
শিক্ষার ব্যবস্থা করা। ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা ও সৃজনশীলতার
সর্বাধিক বিকাশের লক্ষ্যে তাদেরকে প্রণোদিত করা।
২.শিশুকল্যাণঃ- সামাজিক সেবামূলক কর্মকান্ডের অংশ
হিসেবে সমাজের ছিন্নমূল পথশিশুদের সুষ্ঠু পরিবেশে
প্রতিপালন সহ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করে সমাজে পুনর্বাসন
করা। শিশুদের বাধ্যতামূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করা এবং দরিদ্র
শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরন বিতরন করা।
এলাকার গরীব শিশু-কিশোরদের অক্ষরদান দেয়ার জন্য গণশিক্ষা
কেন্দ্র/পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা এবং দরিদ্র শিশুদের খেলাধুলার
পাশাপাশি সু-স্বাস্থ্য নিশ্চিত কল্পে ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা ।
৩.নারীর ক্ষমতায়নঃ- সামাজিক দায়বদ্ধতা পূরনে নারীর ক্ষমতায়নে
কাজ করা সহ নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ইভটিজিং প্রতিরোধ কার্যক্রম
বাস্তবায়ন ও নারী সমাজকে আইনী সহায়তা প্রদান করা।
৪.প্রবাসী পরিবার সমূহের কল্যাণঃ- প্রবাসী পরিবার সমূহকে
পরিকল্পিত পরিবার গঠনে সাহায্য করা।
৫.বাল্যবিবাহ ও যৌতুক প্রতিরোধঃ- সামাজিক দায়বদ্ধতা পূরণে
সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাল্যবিবাহ রোধ করা এবং যৌতুক
প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা।
৬.পরিবেশ উন্নয়নঃ- দায়বদ্ধতা থেকে বর্তমানে বিশ্ব পরিবেশ বিপর্যয়
রোধে সুন্দর শ্যামল পরিবেশের জন্য বাস্তবধর্মী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা
এবং বিশুদ্ধ পানীয় জল ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করা। বৃক্ষ রোপনে
উৎসাহী করা (গাছ লাগান পরিবেশ বাচাঁন) বাস্তবায়িত করা।
খ) আইনগত পরামর্শ ও সহায়তা সেবা কার্যক্রমঃ-
আইনগত বিষয়ে উদ্ভুত সমস্যায় অনলাইন ও বাস্তবিক সহায়তা ও পরামর্শ
প্রদান।
গ) কর্ম ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমঃ-
প্রশিক্ষন প্রদান ও বেকারত্ব দূরীকরণঃ- আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতনতা
সৃষ্টি করা যেমনঃ কম্পিউটার, ই-মেইল, ওয়েবসাইট, সহ উন্নত প্রযুক্তি
সম্পর্কে অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিক জ্ঞান প্রদান। আধু্নকি
কম্পিউটার ও ইঞ্জিন মেকানিক প্রশিক্ষন কেন্দ্র স্থাপন করে শিক্ষিত বেকার
যুব সম্প্রদায়কে প্রশিক্ষণ প্রদান করে দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা
করা সহ ইলেক্ট্রিক ওয়েল্ডিং, টিভি, ফ্রিজ,
কম্পিউটার মেরামত ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে বেকার যুব
সম্প্রদায়কে অভিশপ্ত জীবন থেকে মুক্ত করা।
ঘ)চিকিৎসা সেবাঃ- চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান, চিকিৎসা
বিষয়ক সঠিক দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করা।
ঙ) প্রবাসযাত্রা সম্পর্কিত পরামর্শ ও সহায়তাঃ-
শিক্ষাক্ষেত্রে অনগ্রসর প্রবাসগামী ব্যাক্তিরা সঠিক দিক-নির্দেশনার অভাবে
প্রায়ই দালালশ্রেনী দ্বারা প্রতারিত হয়, ফলে ব্যাক্তি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়
তেমনি সরকার কর্তৃক রেমিট্যান্স প্ররজিত হয়, এই সমস্যা সমাধানকল্পেঃ
প্রবাসগামী ব্যাক্তিকে প্রবাসযাত্রা সম্পর্কিত যেকোন ধরনের সেবামূলক
সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান।
প্রবাসগামী ও প্রবাসী ব্যাক্তিদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী
কল্যানমন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত, সরবরাহকৃত সুবিধাসমুহ সম্পর্কে
প্রবাসগামী ও প্রবাসী ব্যাক্তিদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা।
বিশ্বের যেকোন দেশ হতে প্রবাসী ব্যাক্তিকে ব্যাক্তিগত বা সরকারী পর্যায়ে
উদ্ভুত সমস্যায় অনলাইন পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান।
চ) সাংস্কৃতিক কার্যক্রমঃ-
চিত্তবিনোদনমূলক কার্যক্রমঃ জীবনের অবসাদ দূর করার লক্ষ্যে দর্শনীয়
স্থানসমূহ ভ্রমণ, বনভোজন, খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন
করা এবং প্রশিক্ষণমূলক লিফলেট ও ম্যাগাজিন বই প্রকাশ করা।
জাতীয় ও ধর্মীয় দিবস পালনঃ- জাতীয় ও ধর্মীয় দিবস যথাযথ মর্যাদার সাথে
পালনের ব্যবস্থা করা, উক্ত দিবস সমূহে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের
আয়োজন করা। রমজান মাসে অসহায় গরিবদের মাঝে ইফতারি সামগ্রী
বিতরন করা ও ইফতারি পার্টি আয়োজন করা।“ঈদ উৎসব” ঈদের আগের
দিন অসহায় গরিবের মাঝে ঈদ প্যাকেজ বিতরন করা। হত দরিদ্রদের মধ্যে
ঈদে নতুন জামা কাপড় বিতরণ করা।
ছ) ক্রীড়া বিষয়ক কার্যক্রমঃ-
সুস্থতা ও বিনোদনের জন্য প্রতিযোগিতামূলক খেলার আয়োজন এবং
অংশগ্রহন নিশ্চিত করা। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।
ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন কর্মসুচী পরিচালনা। ফুটবল, ক্রিকেট
বেটমিন্টন টুর্নামেন্ট ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।
জ) প্রবাসে যাওযার জন্য অর্থ সাহায্য সেবা প্রদানঃ- কোনো
সম্মানিত সদস্য বিদেশ যেতে চাইলে যদি অর্থ সংক্রান্ত সহায়তার প্রয়োজন,
উক্ত সদস্য বিনা সুদ/লাভে মাসিক কিস্তিতে জামানতের মাধ্যমে অর্থ ঋণ
সেবা গ্রহন করতে পারবেন।
ঝ) সম্মানিত সদস্যদেরকে ব্যবসায়িক বিনাসুদে ঋণ সেবা প্রদানঃ-
কোনো সম্মানিত সদস্য ব্যবসা করতে অর্থ সংকট দেখা দিলে তাকে
বিনা সুদ/লাভে ক্লাবের সদস্যের জামানতের মাধ্যমে মাসিক কিস্তি
হারে ঋণ সেবা গ্রহন করতে পারবেন।
ঞ) সম্মানিত সদস্যদেরকে বয়স্ক ভাতা সেবা প্রদানঃ- কোনো
সদস্য বার্ধক্যজনিত কারণে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেললে “Ruby Club”
কর্তৃপক্ষ উক্ত বয়স্ক ব্যক্তিকে বয়স্ক ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
ট) ক্লাবের সম্মানিত সদস্যদের স্ত্রী-কে ক্লাব কর্তৃক বিধবা ভাতা
সেবা প্রদানঃ- ক্লাবের কোনো বিবাহিত সদস্য দুর্ঘটনাবশত মৃত্যুবরণ
করলে তার স্ত্রীকে ( যদি প্রয়োজন পড়ে) অন্যত্র বিবাহের ব্যবস্থা করা
বা ক্লাব কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিধবা ভাতা প্রদানের মাধ্যমে সেবা প্রদান
করা হবে।
ঠ) ক্লাবের পক্ষ থেকে সদস্যকে পঙ্গুত্ব ভাতা প্রদানঃ- 
অত্র সংগঠনের কোনো সদস্য দুর্ঘটনাজনিত কারণে পঙ্গুত্ব বরণ
করলে অথবা সদস্যদের পরিবারের সন্তান প্রতিবন্ধী হলে উক্ত
সদস্য বা তার সন্তানদের জন্য প্রয়োজন মনে করলে ক্লাবের পক্ষ
থেকে পঙ্গু ও প্রতিবন্ধী ভাতা সেবা প্রদান করা হবে।
ড) প্রাকৃতিক দূর্যোগে সংগঠনের পক্ষ থেকে সহায়তা ও সেবা প্রদানঃ- 
প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে (যেমন : দুর্ভিক্ষ,ঘূর্ণিঝড, জলোচ্ছাস, বন্যা,
অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, ভূমিকম্প, মহামারি ও অগ্নিকান্ড) ক্ষতিগ্রস্থ
পরিবারসমূহকে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে।
উপরোক্ত সেবা সমূহ গ্রহণের জন্য কোনো সদস্য আবেদন করলে সার্বিক বিষয় বিবেচনাপূর্বক সম্মানিত সদস্য উক্ত সেবা সমূহ গ্রহনের উপযোগী হওয়া সাপেক্ষে “Ruby Club” কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এছাড়া ক্লাবের সকল সদস্যদের মতামতের উপর ভিত্তি করে ক্লাবের সুযোগ সুবিধা ভবিষ্যতে আরো বর্ধিত করা হবে।
ক্লাবের উদ্দেশ্য ঃ
১। এটি একটি সম্পূর্ণ অলাভজনক ও অরাজনৈতিক সংগঠন।
২। এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সমাজের কল্যানমূলক কর্ম যা আমাদের সংগঠনের সকল সদস্যদের মধ্যে ঐক্য ও পারস্পরিক সু-সম্পর্কের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে।
৩। সকল সদস্যগণের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।
৪। প্রতি মাসিক/বাৎসরিক চাঁদা ১-১০ তারিখ এর মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যদের নিকট জমা দিতে হবে।
৫। পূর্ব নির্ধারিত সভায় প্রত্যেকের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।
৬। “Ruby Club” নামে প্রতিষ্ঠিত ক্লাবসমূহের কার্যক্রম পরিচালনা ও পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি গড়ে তোলা;
৭। “Ruby Club”কর্মসূচি এবং প্রশাসনের কাজের ধারার উন্নয়নের সমন্বয় করা;
৮। দেশের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি গড়ার চেতনাকে উজ্জীবিত ও পৃষ্ঠপোষকতা করা;
৯। সুশাসন ও সুনাগরিকত্ব -এ আদর্শকে ধারণ করা;
১০। কমিউনিটির নাগরিক, সাংস্কৃতিক এবং নৈতিক উন্নয়নে সক্রিয় অংশগ্রহণ;
১১। বন্ধুত্বের বন্ধন, সুসম্পর্ক এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার মধ্যে ক্লাবগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করা;
১২। জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনার ব্যবস্থা করা, অবশ্য এতে বিতর্কিত রাজনীতি এবং ধর্মীয় ভেদাভেদের ওপর আলোচনা থাকবে না;
১৩। কোনো রকম ব্যক্তিগত আর্থিক পুরস্কারের আশা না করে সেবাধর্মী যে সব মানুষ কমিউনিটির উন্নয়নে কাজ করতে চায় তাদেরকে উৎসাহিত করা, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, পেশা, গণকল্যাণমূলক কাজ এবং বেসরকারি উদ্যোগের মধ্যে দক্ষতা বৃদ্ধির উৎসাহ দান এবং উচ্চ নৈতিক মান প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করা।
১৪। সংগঠনের উন্নয়নের জন্য প্রত্যেকের স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করা কাম্য।
১৫। সকল সদস্য পরিছন্ন মনের ও সমমনা হয়ে সংগঠনের আদর্শ ও কর্মসূচির সাথে সম্মিলিতভাবে একমত পোষণ করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে সংগঠনের কোনরূপ প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টি না হয়।
১৬। সংগঠনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা, সুবিধা-অসুবিধা,অনুকূল ও প্রতিকূল যে কোন আইনি বাধা-বিপত্তি ও ক্রিয়াকলাপসহ সমুদয় দায়ভার ও ঝুঁকি সকল সদস্য সমভাবে বহন করবেন।
১৭। সংগঠনের সদস্যদের যখন যে দায়িত্ব দেয়া হবে সকল কাজ সতস্পুর্তভাবে পালন করতে হবে।
১৮। সেচ্ছায় রক্ত দান ও সামাজিক এবং শিক্ষা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা।
১৯। এলাকাবাসির মধ্যে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের প্রত্যয় সৃষ্টি করা।
২০। সমাজের সবার মধ্যে সামাজিক দায়বদ্ধতা বোধ সৃষ্টি করে সমাজ সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।
২১। সামাজিক সংগঠনের প্রতিটি সদস্যকে কাজের মাধ্যমে সফল, স্বয়ংক্রিয় ও স্বেচ্ছাসেবী হয়ে ওঠার লক্ষ্যে ক্ষমতায়িত করা।
২২। এলাকার মাদকাসক্ত,জুয়াড়ি,বখাটে ও অপরাধীদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষে বিনোদন, গনসচেতনতা ও চিকিৎসার ব্যাবস্থা করা এবং কর্মসংস্থানের জন্য উৎসাহ প্রদান করা।
২৩। মাদক মুক্ত এলাকা গড়তে প্রশাসনকে সহযোগিতা করা। মাদকাশক্তি ও অপরাধ মূলক কাজ থেকে বিরত থাকা এবং অন্যকে বিরত থাকার জন্য উৎসাহিত করা।
২৪। সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ হইতে জনগণকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে চিত্ত-বিনোদন ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচীর ব্যবস্থা করা।
২৫। যে কোন সেবামূলক কাজে জনগনকে উদ্ভুদ্ব করা এবং জনগনকে সেবামূলক কাজে সহযোগিতা করা। এমনকি খাদ্য দ্রব্যকে বিষ মুক্ত রাখা ও কৃষকদেরকে কেমিক্যাল ব্যতিত ফসল উৎপাদানের ব্যপারে পরামর্শ দেয়া।
২৬। শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন জনগণকে বিশেষ তরুণ ও ছাত্র সমাজকে সংগঠিত করা।
২৭। সামাজিক ও মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে সংগঠনটি কাজ করা।
২৮। গুণী এবং সমাজসেবক দেরকে কৃতি সংবর্ধনা দেওয়া।
২৯। অন্যায় অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।
৩০। ক্ষোভ আক্রোশ প্রতিহিংসার বদলে পরস্পরের প্রতি মমত্ববোধ সৃষ্টির বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া।
এছাড়াও সমাজের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে আমাদের এ সংগঠনটি কাজ করবে
সদস্য পদ লাভের যোগ্যতাঃ-
বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানের কার্য এলাকায় বসবাসকারী ১৮ বৎসর বয়স্ক যে কোন সুস্থ্য নারী ও পুরুষ নির্বিশেষে যাহারা এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যবলী এবং গৃহীত কর্মসুচীর প্রতি আস্থাশীল হইবেন তাহারাই এই প্রতিষ্ঠানের সদস্য পদ লাভের যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবেন।
সদস্য পদের শ্রেণী বিভাগঃ-
এই প্রতিষ্ঠানের মোট ৮ (আট) প্রকারের সদস্য পদ থাকিবে। যেমন ঃ-
(ক) সাধারণ সদস্য।
(খ) ছাত্র-ছাত্রী সদস্য
(গ) বিএমবি২৪ গুড বিজনেস মেম্বার
(ঘ) বিএমবি২৪ ভার্চুয়াল বিজনেস এন্ড রিমোট জব মেম্বার
(ঙ) প্রধান পৃষ্ঠ পোষক।
(চ) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
(ছ) দাতা সদস্য।
(ঞ) আজীবন সদস্য।
সাংগঠনিক কাঠামো ঃ- 
সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী এই প্রতিষ্ঠানের ৭ (সাত) টি পরিষদ থাকিবে যেমন ঃ-
(ক) সাধারণ পরিষদ ।
(খ) ছাত্র-ছাত্রী পরিষদ।
(গ) বি এম বি২৪ জিবি পরিষদ।
(ঘ) বি এম বি২৪ ভি বি আর জে পরিষদ।
(ঙ) উপদেষ্টা পরিষদ।
(চ) কার্য্যনির্বাহী পরিষদ।
(ছ) পরিচালনা পর্ষদ (Board of Directors / Governing Body)
(ক) সাধারণ পরিষদ
১। সাধারণ পরিষদ সাধারণ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হইবে ।
২। সাধারণ পরিষদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠনের বার্ষিক কর্ম পরিকল্পনা অনুমোদিত হইবে।
৩। এই পরিষদ বাজেট ও বার্ষিক আয় ও ব্যয়ের হিসাব অনুমোদন করিবে।
৪। এই পরিষদ বার্ষিক যে কোন প্রকল্প প্রনয়ন ও অনুমোদন করিবে।
৫। সাধারণ পরিষদই প্রতিষ্ঠানের মূল চালিকা শক্তি হিসাবে গণ্য হইবে।
(খ) ছাত্র-ছাত্রী পরিষদ।
১। ছাত্র-ছাত্রী পরিষদ ছাত্র-ছাত্রী সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হইবে ।
২। ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠনের বার্ষিক কর্ম পরিকল্পনা অনুমোদিত হইবে।
৩। এই পরিষদ বাজেট ও বার্ষিক আয় ও ব্যয়ের হিসাব অনুমোদন করিবে।
৪। এই পরিষদ বার্ষিক যে কোন প্রকল্প প্রনয়ন ও অনুমোদন করিবে।
৫। ছাত্র-ছাত্রী পরিষদই প্রতিষ্ঠানের মূল চালিকা শক্তি হিসাবে গণ্য হইবে।
(গ) বি এম বি২৪ জিবি পরিষদ।
১। বি এম বি২৪ জিবি পরিষদ বি এম বি২৪ জিবি সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হইবে ।
২। বি এম বি২৪ জিবি পরিষদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠনের বার্ষিক কর্ম পরিকল্পনা অনুমোদিত হইবে।
৩। এই পরিষদ বাজেট ও বার্ষিক আয় ও ব্যয়ের হিসাব অনুমোদন করিবে।
৪। এই পরিষদ বার্ষিক যে কোন প্রকল্প প্রনয়ন ও অনুমোদন করিবে।
৫। বি এম বি২৪ জিবি পরিষদই প্রতিষ্ঠানের চালিকা শক্তি হিসাবে গণ্য হইবে।
(ঘ) বি এম বি২৪ ভি বি আর জে পরিষদ।
১। বি এম বি২৪ ভি বি আর জে পরিষদ বি এম বি২৪ ভি বি আর জে সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হইবে ।
২। বি এম বি২৪ ভি বি আর জে পরিষদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠনের বার্ষিক কর্ম পরিকল্পনা অনুমোদিত হইবে।
৩। এই পরিষদ বাজেট ও বার্ষিক আয় ও ব্যয়ের হিসাব অনুমোদন করিবে।
৪। এই পরিষদ বার্ষিক যে কোন প্রকল্প প্রনয়ন ও অনুমোদন করিবে।
৫। বি এম বি২৪ ভি বি আর জে পরিষদই প্রতিষ্ঠানের চালিকা শক্তি হিসাবে গণ্য হইবে।
(ঙ) উপদেষ্ঠা পরিষদের গঠণ, ক্ষমতা ও দায়িত্বঃ
১। সাধারণ পরিষদ কর্তৃক মনোনীত ২ জন, ছাত্র-ছাত্রী পরিষদ কর্তৃক মনোনীত ২ জন, জি বি পরিষদ কর্তৃক মনোনীত ২ জন, ভি বি আর জে পরিষদ কর্তৃক মনোনীত ২ জন যোগ্য ব্যক্তিদের লইয়া এই প্রতিষ্ঠানের ৮ (আট) সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হইবে। এই পরিষদের মেয়াদকাল হইবে ২(দুই) বৎসর।
৩। উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্যগণের কোন ভোটাধিকার থাকিবে না এবং তাহারা নির্বাচনে পদ প্রার্থী হইতে পারিবে না ।
৪। কার্য্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনের প্রাক্কালে উপদেষ্টা পরিষদ অস্থায়ী ভাবে কার্য্যনির্বাহী পরিষদের দায়িত্বভার গ্রহণ করিবেন এবং নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত যাবতীয়দায়দায়িত্ব পালন করিবেন। নির্বাচন সমাপ্তির পর নির্বাচিত পরিষদের নিকট কার্য্যনির্বাহী পরিষদের দায়িত্বভার প্রদান করিবেন।
৫। প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় উন্নয়ন মূলক কর্ম পরিচালনা ও বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি সদস্য উপস্থিত থাকিয়া প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও উপদেশ প্রদান করিবেন।
৬। প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের লক্ষ্যে সকল প্রকার সাহায্য ও সহযোগিতা প্রদান করিবেন।
৭। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যগণ প্রতিষ্ঠানের দেয়া সুযোগ সুবিধাদি ভোগ করিতে পারিবেন।
(চ) সাধারণ পরিষদ, ছাত্র-ছাত্রী পরিষদ, বি এম বি২৪ জিবি পরিষদ, বি এম বি২৪ ভি বি আর জে পরিষদের কার্য্যনির্বাহী পরিষদ গঠন, ক্ষমতা ও দায়িত্বঃ
১। সাধারণ,ছাত্র-ছাত্রী, বি এম বি২৪ জিবি,বি এম বি২৪ ভি বি আর জে পরিষদের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচনের মাধ্যমে/সিলেকশনের
মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানের কার্যনির্বাহী পরিষদ ২(দুই) বৎসরের জন্য গঠিত হইবে।
২। এই পরিষদ প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কার্যবলী পরিচালনা করিবেন।
৩। বিভিন্ন প্রকল্প প্রণয়ন, বাস্তবায়ন , বাজেট প্রণয়ন ও সাধারণ সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করিবেন।
৪। প্রতিটি দপ্তরের সম্পদক মন্ডলী নিজ নিজ কাজের জন্য সাধারণ পরিষদের নিকট জবাব দিহি করিতে বাধ্য থাকিবেন।
৫। যাবতীয় আয় ও ব্যয়ের হিসাব হাল নাগাদ রক্ষনা বেক্ষন করিবেন ।
৬। প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় সুযোগ সুবিধাদি কার্য্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ ভোগ করিতে পারিবেন।
সাধারণ পরিষদ, ছাত্র-ছাত্রী পরিষদ, বি এম বি২৪ জিবি পরিষদ, বি এম বি২৪ ভি বি আর জে পরিষদের কার্য্যনির্বাহী পরিষদের অবকাঠামো ঃ-
রুবি ক্লাবের ২৩(তেইশ) সদস্য বিশিষ্ট একটি কার্য্যনির্বাহী পরিষদ থাকিবে । প্রত্যেক এর পৃথক পৃথক পদবী উল্লেখ থাকিবে। এই পরিষদের মেয়াদকাল হইবে ২ (দুই) বৎসর ।
কার্য্যনির্বাহী পরিষদের অবকাঠামো নিম্নরূপ ঃ-
ক্রমিক নংঃ- পদবী পদ সংখ্যা
১। সভাপতি- ১ (এক) জন।
২। সহ-সভাপতি ৫ (এক) জন।
৩। সাধারণ সম্পাদক ১ (এক) জন।
৪। সহ সাধারণ সম্পাদক ৫ (পাঁচ) জন ।
৫। কোষাধ্যক্ষ ১ (এক) জন ।
৬। দপÍর সম্পাদক ১ (এক) জন ।
৭। সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ১ (এক) জন ।
৮। ক্রীড়া সম্পাদক ১ (এক) জন ।
৯। প্রচার সম্পাদক ১ (এক) জন ।
১০। পাঠাগার সম্পাদক ১ (এক) জন ।
১১। ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ১ (এক) জন ।
১২। পরিবার পরিকল্পনা সম্পাদক ১ (এক) জন ।
১৩। সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১ (এক) জন ।
১৪। মহিলা বিষয়ক সম্পাদীকা ১ (এক) জন ।
১৫। কার্য্যনির্বাহী সদস্য ১ (এক) জন ।
------------------------------
মোট = ২৩(তেইশ) জন।
(ছ) পরিচালনা পর্ষদ (Board of Directors / Governing Body)
-
সভাপতি (President) – ক্লাবের প্রধান ব্যক্তি, দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
-
সাধারণ সম্পাদক (General Secretary) – প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেন।
তহবিল সংগ্রহ ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা
অলাভজনক ক্লাব পরিচালনার জন্য তহবিল সংগ্রহ ও সঠিক আর্থিক পরিকল্পনা অপরিহার্য।
তহবিলের উৎস:
সদস্যদের চাঁদা
দান ও অনুদান
স্পন্সরশিপ ও পার্টনারশিপ
তহবিল সংগ্রহ কার্যক্রম (Fundraising Events)
সরকারি ও বেসরকারি অনুদান
অর্থ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা:
-
প্রতিটি লেনদেনের হিসাব রাখা ও বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা।
-
বাজেটের বাইরে খরচ না করা।
-
তহবিল স্বচ্ছভাবে ব্যবস্থাপনা করা।
একটি ক্লাবের সম্ভাব্য ব্যয়ের খাতসমূহ:
১. প্রশাসনিক ব্যয়:
- অফিস ভাড়া ও বিল: অফিসের ভাড়া, বিদ্যুৎ, পানি, ইন্টারনেট ও অন্যান্য ইউটিলিটি বিল।
- স্টেশনারি ও অফিস সরঞ্জাম: কাগজ, কলম, ফাইল, প্রিন্টার, কম্পিউটার ইত্যাদি।
- কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন: ম্যানেজার, হিসাবরক্ষক, কর্মচারী বা অন্যান্য স্টাফের বেতন।
- পরিবহন ব্যয়: ক্লাব কার্যক্রমের জন্য যাতায়াত খরচ।
২. কার্যক্রম ও ইভেন্ট ব্যয়:
- ইভেন্ট আয়োজন: সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ইত্যাদির খরচ।
- প্রচার ও বিজ্ঞাপন: পোস্টার, ব্যানার, সোশ্যাল মিডিয়া প্রচার, ওয়েবসাইট ব্যবস্থাপনা ইত্যাদির খরচ।
- অতিথি ও বক্তাদের সম্মানী: ইভেন্ট বা ট্রেনিং প্রোগ্রামের জন্য অতিথিদের সম্মানী বা উপহার।
৩. ক্লাব পরিচালনা ও উন্নয়ন ব্যয়:
- সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও ডেভেলপমেন্ট: সদস্যদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা আয়োজন।
- ক্লাবের সরঞ্জাম কেনা ও রক্ষণাবেক্ষণ: সাউন্ড সিস্টেম, প্রজেক্টর, স্পোর্টস গিয়ার ইত্যাদি।
- গবেষণা ও ডকুমেন্টেশন: ক্লাবের কাজ সংরক্ষণ ও ভবিষ্যতের উন্নয়নের জন্য ডাটা সংগ্রহ ও গবেষণা।
৪. সমাজসেবা ও চ্যারিটি ব্যয়:
- সামাজিক কার্যক্রম: দরিদ্রদের সহায়তা, শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ।
- দুর্যোগ ও জরুরি তহবিল: প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা জরুরি অবস্থার জন্য বিশেষ সহায়তা প্রদান।
৫. অন্যান্য ব্যয়:
- ব্যাংকিং ও অ্যাকাউন্টিং খরচ: ব্যাংক চার্জ, হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়।
- আইনি ও পরামর্শ ব্যয়: আইনগত পরামর্শ, রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স নবায়ন ইত্যাদি।
- ভ্রমণ ও প্রতিনিধিত্ব ব্যয়: অন্য ক্লাব বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য ভ্রমণ ব্যয়
কার্যক্রম পরিচালনার ধাপসমূহ
পরিকল্পনা ও লক্ষ্য নির্ধারণ
নিয়মিত সভা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ
স্বেচ্ছাসেবক ও সদস্য পরিচালনা
পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন
রুবি ক্লাব পরিচালনায় প্রযুক্তির ব্যবহার
ক্লাবের কার্যক্রম আরও দক্ষভাবে পরিচালনার জন্য প্রযুক্তির সাহায্য নিতে পারেন।
ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া: ক্লাবের কার্যক্রম প্রচার করতে ফেসবুক, ইউটিউব, ওয়েবসাইট ব্যবহার।
অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা: সদস্য চাঁদা ও অনুদানের জন্য ব্যাং, বিকাশ, রকেট, নগদ ইত্যাদি ব্যবহার।
ডিজিটাল নথি সংরক্ষণ: Google Drive, Dropbox ইত্যাদির মাধ্যমে ক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল সংরক্ষণ।
রুবি ক্লাব পরিচালনার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
সকল আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ করা।
বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি করা।
সদস্যদের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করা।
আইন ও নিয়ম মেনে ক্লাব পরিচালনা করা।
রুবি ক্লাব শাখা (Branch) নিতে সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট শর্ত ও নিয়ম মানতে হবে, যা মূল ক্লাব কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে। এসব শর্ত ক্লাবের উদ্দেশ্য, গঠন ও কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করে। নিচে সম্ভাব্য কিছু শর্ত দেওয়া হলো—
১. নিবন্ধন ও অনুমোদন সংক্রান্ত শর্ত
-
ক্লাবের প্রধান কার্যালয় বা পরিচালনা কমিটির লিখিত অনুমোদন নিতে হবে।
-
শাখার জন্য আইনি নিবন্ধন প্রয়োজন হতে পারে ।
-
নির্দিষ্ট ফি বা সদস্যপদ ফি জমা দিতে হবে।
২. পরিচালনা ও সদস্যপদ শর্ত
-
শাখার কার্যক্রম মূল ক্লাবের নীতিমালা ও সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হতে হবে।
-
শাখায় নির্দিষ্ট সংখ্যক সদস্য থাকতে হবে (যেমন নূন্যতম ২০ জন সদস্য)।
-
শাখার জন্য একটি পরিচালনা কমিটি গঠন করতে হবে (সভাপতি, সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ ইত্যাদি)।
-
নতুন সদস্য যোগ করতে হলে প্রধান ক্লাবের অনুমতি লাগবে।
৩. আর্থিক শর্ত
-
শাখার আয়-ব্যয় সম্পর্কে প্রধান কার্যালয়কে নিয়মিত রিপোর্ট দিতে হবে।
-
ক্লাবের মূল ফান্ডের একটি নির্দিষ্ট অংশ (যেমন ১৫%) কেন্দ্রীয় তহবিলে পাঠাতে হবে।
-
ক্লাবের নাম ব্যবহার করে কোনো বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালানো নিষিদ্ধ।
৪. কার্যক্রম ও নিয়মনীতি সংক্রান্ত শর্ত
-
শাখাকে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া বা শিক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
-
ক্লাবের লোগো, নাম বা ব্র্যান্ডের ব্যবহার করতে চাইলে অনুমতি নিতে হবে।
-
শাখা কোনো রাজনৈতিক বা অবৈধ কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে পারবে না।
-
নির্দিষ্ট সময় পরপর (যেমন প্রতি ৩ বা ৬ মাস) মূল ক্লাবের কার্যকরী কমিটির কাছে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
৫. বাতিলকরণ বা শাখা বন্ধের শর্ত
-
প্রধান ক্লাব যদি মনে করে যে শাখা নিয়ম ভঙ্গ করছে, তাহলে তারা শাখার অনুমোদন বাতিল করতে পারবে।
-
শাখা যদি নির্দিষ্ট সময় ধরে নিষ্ক্রিয় থাকে, তাহলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
ক্লাবের সভাসমূহঃ
“রুবি ক্লাবে “ ইংরেজি বা অন্যান্য অনেক ভাষায় সভা করতে পারেন তবে সর্বাধিক লোকের কাছে পৌঁছানোর জন্য, স্থানীয় ভাষাগুলি ব্যবহার করতে উত্সাহিত করি। “রুবি ক্লাবে “ সভা শারীরিকভাবে, ভার্চুয়ালভাবে বা উভয়ের সংমিশ্রণে মিলিত হতে পারেন। শারীরিক বৈঠকগুলিতেই বৃহত্তম শিক্ষাগত সুবিধাটি উপভোগ করা হয় এবং প্রকৃতপক্ষে, আমাদের শিক্ষামূলক কার্যক্রমটি সম্পন্ন করার জন্য কমপক্ষে কিছু শারীরিক সভায় অংশ নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
“রুবি ক্লাবে “ সভা কোনও অসম্পূর্ণ সামাজিক ক্রিয়াকলাপ নয় যেখানে সদস্যরা কেবল মিলিত হন এবং আলাপ-আলোচনা করেন, তবে একটি নির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি সহ সতর্কতার সাথে পরিকল্পিত একটি ইভেন্ট এবং এটি একজন সভা নেতার দ্বারা পরিচালিত হয় (যা একটি স্বেচ্ছাসেবীর ভূমিকা এবং এক সভা থেকে পরের সভায় পরিবর্তিত হয়)।
আক্ষরিক অর্থে এখানে কয়েক ডজন সম্ভাব্য ক্রিয়াকলাপ রয়েছে যেগুলি “রুবি ক্লাবে “ সভায় সংগঠিত হতে পারে এবং সেগুলি বাড়তেই থাকবে। পুরো তালিকাটির জন্য আমাদের একটি বিশেষ অধ্যায় রয়েছে। প্রতিটি ক্রিয়াকলাপ আলাদা আলাদা দক্ষতার প্রশিক্ষণ দেয়। বর্তমানে সংজ্ঞায়িত কয়েকটি ক্রিয়াকলাপের সংক্ষিপ্তসার এখানে দেওয়া হয়েছে:
কে কোন ক্রিয়াকলাপটি করেন? এটি সদস্যরা নিজেরাই ঠিক করেন, যারা সভায় ভূমিকার জন্য স্বেচ্ছাসেবক হন, তাদের আগ্রহ এবং দক্ষতাগুলির উপর নির্ভর করে যেগুলি তারা শিখতে বা অনুশীলন করতে চান।
পার্টি, প্রতিযোগিতা, নেতৃত্বের ইভেন্টসমূহ, ইত্যাদির মতো “রুবি ক্লাবে “ অনেক কার্যক্রমের আয়োজন করে।
সময়-নির্ধারণ ও মূল্যায়নঃ
সাধারণত, সভাগুলি ১ থেকে ২ ঘন্টা স্থায়ী হয়, যদিও বিশেষ প্রয়োজনে ৪-ঘন্টা লম্বা বৈঠকও হতে পারে। সমস্ত ক্রিয়াকলাপগুলির জন্য সীমাবদ্ধ পরিমাণ সময় বরাদ্দ থাকে - সাধারনভাবে কোনও ব্যক্তি মঞ্চে এসে একটি সম্পূর্ণ চার ঘন্টার বক্তৃতা দিতে পারেন না। প্রতিটি ক্রিয়াকলাপের জন্য একটি সর্বনিম্ন এবং সর্বাধিক সময়কাল থাকে এবং সেটি আলোচ্যসূচিটিতে নির্দিষ্ট করা থাকে:
শিখতে ও উন্নতি করতে, প্রতিটি অংশগ্রহণকারী ক্রিয়াকলাপটির সাধারণ মূল্যায়নের মানদণ্ডের ভিত্তিতে তার সম্পাদন সম্পর্কে মতামত গ্রহণ করেন। অতিরিক্তভাবে, সদস্য এবং অতিথিরাও তাদের নিজস্ব জেনেরিক মতামত সরবরাহ করতে পারেন।
ক্রিয়াকলাপের প্রকারসমূহঃ
পূর্বের বর্ণনা হিসাবে, একটি সভা চলাকালীন অনেক ধরণের ক্রিয়াকলাপ ঘটতে পারে।
এই ক্রিয়াকলাপগুলির বেশিরভাগই (যেমন তাত্ক্ষণিক প্রশ্নসমূহ, দিনের সেরা ভাবনা ইত্যাদি) সবসময় একই কাঠামো এবং শিক্ষামূলক লক্ষ্য থাকে। যদিও তারা বিষয়বস্তুটি পরিবর্তন করেন (স্পষ্টতই, প্রত্যেকেই দিনের সেরা ভাবনা বিভাগে সর্বদা একই বিষয় সম্পর্কে কথা বলবেন না), তবে উদ্দেশ্যটির পরিবর্তন হয় না।
প্রস্তুত বক্তৃতাসমূহের ক্রিয়াকলাপটির ক্ষেত্রে তেমন হয় না। প্রতিটি প্রস্তুত বক্তৃতা এমন একটি প্রকল্প যা একটি ক্রমের অংশ যেটি একটি শিক্ষামূলক পথ তৈরি করে। প্রতিটি প্রকল্পের স্থায়ী লক্ষ্যসমূহ রয়েছে যা প্রকল্প থেকে প্রকল্পে পৃথক হয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি প্রকল্প কণ্ঠস্বরের বিভিন্নতা সম্পর্কে, অন্যটি ভিজ্যুয়াল সহায়তা সম্পর্কে, এবং অন্যটি আবেগের ব্যবহার সম্পর্কে হতে পারে।
সমাজের উন্নয়নমূলক ক্লাবের ক্রিয়া-কলাপগুলি সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের জন্য সহায়ক এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহায়তা করে। এই কার্যক্রমগুলি সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে এবং একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের ক্লাবের সদস্যরা এই উদ্যোগগুলির মাধ্যমে সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
উপসংহার
আমাদের ক্লাবের লক্ষ্য হল সমাজের উন্নয়ন এবং মানবতার সেবা করা। আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি যাতে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ উন্নতির সুযোগ পায়। আমাদের এই প্রচেষ্টা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়ক হবে এবং একটি সুন্দর ও উন্নত সমাজ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই লক্ষ্য অর্জনে কাজ করি এবং আমাদের সমাজকে একটি উন্নত স্থানে পরিণত করি।